হাইপারটেনশন/উচ্চরক্তচাপ এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের প্রত্যেকের পরিবারে দেখা যায় কমবেশি ২ বা ১ জনের উচ্চরক্তচাপ আছে। কিন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় দেখা যায় কেউ ওষুধ গ্রহণ করে আবার কেউ ওষুধ গ্রহণ করার কিছুদিন পরে আবার ছেড়ে দেয় ২০২৪ সালে ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ESC) ব্লাড প্রেসার কে ৩টি ভাগে ভাগ করেছেন—
১. নন এলিভেটেড (বাড়তি নয়) (<১২০/৭০)
২. এলিভেটেড (বাড়তি) (১২০/৭০-<১৪০/৯০)
৩. উচ্চরক্তচাপ হাইপারটেনশন (>১৪০/৯০)
এই উচ্চরক্তচাপারে সাথে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর জড়িত যেমন—
১. খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া
২. ধুমপান
৩. মদ্যপান
৪. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
৫. কায়িক পরিশ্রম না করা
৬. অতিরিক্ত শরীরের ওজন
৭. উচ্চরক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস
৮. অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ।
উচ্চরক্ত চাপের জন্য যেসব লক্ষণ হতে পারে
যেমনঃ—
১. মাথা ঘোরানো
২. ক্লান্ত অনুভব করা
৩. বুকে ব্যথা
৪. বুক ধড়ফড় করা
৫. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
৬. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
উচ্চরক্তচাপ কে আমি নীরব ঘাতক বলেছি কারণ অধিকাংশ মানুষ জানে না তার উচ্চরক্তচাপ আছে, আর এই উচ্চরক্তচাপের জন্য তার শরীরের মূল্যবান অঙ্গসমূহ নীরবে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে যেমনঃ— ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলুর, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ইত্যাদি। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিবছর বিশ্বে ১০ মিলিয়ন মানুষ উচ্চরক্তচাপ এবং তার কমলিকেশন জনিত মারা যায় এবং আমাদের দেশে ২০২০ সালের ডাটা অনুযায়ী সকল মৃত্যুর মধ্যে উচ্চরক্তচাপ জনিত মৃত্যুর হার ২.০৬%।
উচরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারি
যেমনঃ—
১. টাটকা ও প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করা।
২. প্রতিদিন ৬—৮ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস করা।
৩. অন্তত বছরে ১ বার শারীরিক চেক আপ করা।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করা।
উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে সচেতনার জন্য প্রতিবছর বিশ্বে ১৭ মে উচ্চরক্তচাপ দিবস পালন করা হয়। আসুন আমরা সবাই উচ্চরক্তচাপ বিষয়ে সচেতন হই এবং সঠিক পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হই।
লেখক
ডা. ওমর ফারুক
হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-৬
হটলাইন: ১০৬৭২
Website: https://aalokhospitalbd.com

