Short Baby

খর্বাকৃতি বা short stature এর ক্ষেত্রে শিশুদের উচ্চতা বয়সের তুলনায় বৃদ্ধি হয় না। কোন শিশুর উচ্চতা থার্ড  সেন্টাইলের এর নীচে হলে খর্বাকৃতি হিসাবে ধরা হয়। নরমাল খর্বাকৃতির কারণ সমূহ বংশগত এবং, কনস্টিটিউশনাল।প্যাথলজিক্যাল খবাকৃতির কারণ সমূহ দীর্ঘমেয়াদি রোগ, হরমোনজনিত অপুষ্টি, সিনড্রেমিক এবং মানসিক চাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খর্বাকৃতির কারণ বংশগত। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন যেমন মা, বাবা অথবা ভাইবোন খাটো হয়ে থাকে। বংশগত খর্বাকৃতি কে ফ্যামিলিয়াল খর্বাকৃতি ও বলা হয়। কনস্টিটিউশনাল খর্বাকৃতির ক্ষেত্রে শৈশবকালীন উচ্চতার হার স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। এছাড়া এইসব শিশুদের বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন দেরীতে হয়। মা, বাম বা উবয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা খাকতে পারে। এই উভয়ের সব শিশুরা বয়সের তুলনায় দেরীতে হলেও স্বাভাবিক উচ্চতা প্রাপ্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদী রোগসমূহ যেমন এজমা, জন্মগত হার্টের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদি ডায়ারিয়া, লিভার বা কিডনির সমস্যা, থ্যালাসেমিয়া, রিকেটস, সিষ্টিক ফাইব্রোসিসে, শিশুদের খর্বাকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ মেয়াদি স্টেরয়েড গ্রহনের জন্য শিশুরা খর্বাকৃতি হয়।

হরমোন জনিত রোগসমূহ যেমন থাইরয়েড অথবা গ্রোথ হরমোনের স্বল্পতা এবং কুশিং সিনড্রোমে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

দীর্ঘ মেয়াদি অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা পরবতীর্তে খবাকৃতি হয়ে থাকে। অপযাপ্তর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল এর অভাবে শিশুরা সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। জন্মকালীন অপুষ্টি (আইইউজিআর) মাতৃকালীন সমস্যার জন্যে হয়ে থাকে। এছাড়া সিনড্রোমিক কারণ যেমন ডাউন সিনড্রোম, টারনার সিনড্রোম এবং একন্ড্রোপ্লাসিয়া আক্রান্ত রোগীরা খর্বাকৃতি হয়। দীর্ঘমেয়াদী অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য শিশুদের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। এক্ষেত্রে মা—বাবার ডিভোর্স এবং পারিবারিক সমস্যা খর্বাকৃতির কারণ।

চিকিৎসাঃ

বংশগত এবং কনস্টিউশনাল খর্বাকৃতিঃ এক্ষেত্রে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নাই। কাউন্সেলিং এর ভূমিকা অন্যতম।

দীঘ র্মেয়াদি রোগসমূহঃ কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে খবার্কৃতি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

হরমোন জনিত সমস্যাঃ থাইরয়েড হরমোন অথবা প্রোথ হরমোন প্রদানের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

অপুষ্টিঃ ছোটবেলা থেকে শিশুর পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে এই সময় অংশষ্টির জন্য পরবতীর্তে লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। জন্মকালীন অপুষ্টির ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় মায়ের সময়মত এন্টিনেটাল কেয়ার এবং স্বাস্থের দিকে নজর দিতে হবে।

সিনড্রোমিকঃ টারনার সিনড্রোম জনিত সম্যসায় গ্রোথ হরমোন প্রদাণের মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়।

মানসিক চাপঃ চাপমুক্ত পরিবেশ এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

প্রতিরোধঃ

  • মায়ের পুষ্টি এবং স্বাস্থের দিকে নজর দিতে হবে
  • শৈশবকালীন সময়ে সুষম খাদ্য পর্যাপ্ত ঘুম, এবং সক্রিয় থাকতে হবে।
  • দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদান করতে হবে
  • নিয়মিত চেক আপ এবং  গ্রোথ মনিটরিং এর মাধ্যমে সঠিক সময়ে খর্বাকৃতি নিরাপণ করতে হবে
  • কিছু কিছু খর্বাকৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় যেমন বংশগত এবং কন্টিটিউশনাল খর্বাকৃতি

খর্বাকৃতি শিশুকে অনেক সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় ফলে শিশুর হীনমন্যতায় ভোগে। এজন্য অভিভাবকের সচেনতার প্রয়োজন রয়েছে।

ডাঃ সুরাইয়া বেগম

Website: https://aalokhospitalbd.com

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *